এ ঘটনায় গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. শফিউল আলম তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ জুলাই হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো-কেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক মো. রমজান আলীর বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে চাপ প্রয়োগ করার লিখিত অভিযোগ করেন এক ছাত্রী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে জানান ড. শফিউল আলম।
তিনি জানান, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বায়ো-কেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক মো. রমজান আলী এক ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে চাপ প্রয়োগ করার প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষক রমজান আলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
এর আগে যৌন হয়রানির দুটি ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরও অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ করেন দুই ছাত্রী।
একই বছর শিক্ষা সফরে মৎস্য বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন ছবি তুলতে বাধ্য করার অভিযোগ করেন অন্য ৩ ছাত্রী। এসব ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও কুশপুতুল দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।
২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রীদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও অনৈতিক কাজে বাধ্য করার ৩টি ঘটনায় শিক্ষকদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি অভিযোগের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এমজেএফ/