রোববার (৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ওই শিক্ষকরা।
জানা যায়, গত ২ আগস্ট একই অভিযোগের ভিত্তিতে সভাপতির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ১১ শিক্ষক।
তবে বিভাগের আরেক শিক্ষিকা আন্দোলনকারী ১১ শিক্ষকের একজনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন গত ৩ আগস্ট। পরে গত শুক্রবার বিভাগের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ওই ১১ শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে সভাপতি ও শিক্ষিকার করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
আরও জানা যায়, গত ৩১ জুলাই সোমবার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছা. রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ১১ শিক্ষক। একই দিন বিকেলে অভিযুক্ত মোছা. রুখসানা পারভীনও তার বিরুদ্ধে বিভাগের কিছু শিক্ষক ষড়যন্ত্র করছেন উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর পাল্টা অভিযোগ দেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চালাচালিতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অন্যতম অধ্যাপক এম আমিনুর রহমান শনিবার বাংলানিউজকে বলেন, সভাপতি ও একজন শিক্ষিকা শিক্ষকদের সম্পর্কে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিভাগের শিক্ষকদের মানহানি হচ্ছে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সভাপতির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিমা জামান বাংলানিউজকে বলেন, অনাস্থা জানিয়ে প্রশাসনকে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চলমান বিষয়ে দু’পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়নি। কথা হলে প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৭
এসজে/এএ