এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) এ রায় দেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু।
গত বছরের জুলাই মাসে বিভাগের দুই ছাত্রী তাদের মাস্টার্সের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ০৬ মার্চ তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বরখাস্তাদেশে বলা হয়, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্য। ছাত্রীদের সঙ্গে ড. শাহাদাত হোসেনের এ আচরণ স্পষ্টতই নৈতিক স্খলন, যা গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন শাহাদাত হোসেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ০৭ জুন আদালত রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রায়ের পরে ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু বলেন, ড. শাহাদাত হোসেনকে বরখাস্তের আগে কোনো ধরনের কারণ দর্শাও (শো’কজ) নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমনকি তাকে নিজের পক্ষে কোনো যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ আইন অনুসারে এ বরখাস্তাদেশ বৈধ হয়নি।
তাই বরখাস্তের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন তাকে চাকরিতে পুর্নবহালে বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর