সেশনজটমুক্ত না হওয়া বিভাগগুলো হলো- ভুগোল ও পরিবেশ, আইন বিভাগ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), পদার্থ বিজ্ঞান, টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগ।
এর পেছনে শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়কে দায়ী করছেন তা হলো- সান্ধ্যকালীন কোর্স, পরীক্ষার তারিখ পেছানো, ফল প্রকাশে ধীরগতি, শিক্ষকদের অবহেলা, খাতা মূল্যায়নে শিক্ষকদের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে বিভাগের সৃষ্ট জটিলতা, বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে শিক্ষকদের ব্যস্ততা, ক্লাস শুরুতে দেরি করা।
জানা যায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ২০১০-১১ সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের এখনো মাস্টার্সের ফল প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু একই সেশনে ভর্তি হওয়া অন্য বিভাগগুলোর কোনো শিক্ষার্থী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন না। এছাড়া ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স পরীক্ষাই হয়নি। কিন্তু একই সময়ের অন্য বিভাগগুলোর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আর ২০১২-১৩ সেশনের অনার্স পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিভাগে সেভাবে সেশনজট নেই। পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট হয় দাবি করলেও সেশনজটের প্রকৃত কারণ স্পষ্ট করে বলতে চাননি তিনি।
আইন বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের মাস্টার্স পরীক্ষা এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তী সেশনেও একই চিত্র। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের এখনো ৫ম সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়নি। কোর্স ফি বেশি থাকায় তা কমিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করায় ৬ মাসের সেশনজটে পড়েছেন টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
সেশনজট সম্পর্কে জানতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহকে ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
এদিকে বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ফল প্রকাশে দেরি করা হচ্ছে। আর প্রকাশিত ফলাফলে অকৃতকার্য হলে আবার আগে বর্ষে ফিরে যেতে সাত-আট মাসের জটের কবলে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, অধিকাংশ বিভাগে সেশনজট নেই। যেসব বিভাগে সেশনজট আছে সেসব বিভাগে উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করতে হবে। সব বিভাগ পারলে তারা পারবে না কেন?
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এসকেবি/জেডএস