বুধবার (০৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে 'শোকাবহ আগস্ট' শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণসভায় একথা বলেন মন্ত্রী। জবি শিক্ষক সমিতি এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে প্রমাণিত হয় তিনি বিশ্বসেরা কূটনীতিক। তার নির্দেশেই দেশের জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয় এবং স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৪ বৎসর আন্দোলন করেন। বঙ্গবন্ধুই সমুদ্র আইনে প্রথম মামলা করেন, শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন এবং স্বাধীনতা উত্তরকালীন ব্যাপকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে স্বাভাবিক ও দেশের উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করছিলেন তখনই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য হয়নি। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদশ ও বাঙালিত্ব- এই তিনটি জিনিসকে একইসঙ্গে হত্যা করা হয়েছিল। বাঙালির ইতিহাস মুছে ফেলে পূর্ব পাকিস্তান কায়েম করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারসহ নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয় নীরবতা পালন করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।
এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
ডিআর/এএ