অনলাইনে আবেদন গ্রহণের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ. ই. ম. নেছার উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আবেদনকারীদের মধ্যে তিন লাখ ২৭ হাজার ৪২৩ জন পরীক্ষার ফি জমা দিয়েছেন।
দুই হাজার ২৪টি পদের বিপরীতে এতো সংখ্যক আবেদন পড়ায় একটি পদের জন্য গড়ে ১০২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এবার ঢাকাসহ আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নেছার উদ্দিন।
ঢাকা কেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ ৮১ হাজার ৩৪৩ জন আবেদন করেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামে ২৮ হাজার ৯৪৮ জন, রাজশাহীতে ২৯ হাজার ৭৪৩ জন, খুলনায় ২০ হাজার ৫৯৭ জন, বরিশালে আট হাজার ৪৫২ জন, সিলেটে ১৩ হাজার ১০৫ জন, রংপুরে ২৩ হাজার ৪৬১ জন এবং ময়মনসিংহে আবেদন পড়েছে ২১ হাজার ৭৭৪টি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাংলানিউজকে বলেন, অক্টোবরের শেষ দিকে ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৩৭তম বিসিএসে এক হাজার ২২৬ পদের বিপরীতে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
৩৬তম বিসিএসের ২ হাজার ১৮০ জনকে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে আবেদন করেছিলেন দুই লাখ ১১ হাজার ৩২৬ জন প্রার্থী।
এক হাজার ৮০৩টি পদের জন্য ৩৫তম বিসিএসে এরআগে সর্বোচ্চ দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন আবেদন করেছিলেন।
রেকর্ড সংখ্যক আবেদন সম্পর্কে পিএসসি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাংলানিউজকে বলেন, স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতার কারণে পিএসসির ওপর চাকরি প্রার্থীরা আস্থা রাখছেন। কারণ, আমরা প্রার্থীবান্ধব পিএসসি গড়তে পেরেছি। আমি মনে করি এতো সংখ্যক আবেদন তারই বহিঃপ্রকাশ।
২৪টি ক্যাডারে দুই হাজার ২৪টি শূন্য পদ নিয়োগের জন্য গত ২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদ স্বল্পতায় ক্যাডার পদ না পাওয়াদের জন্যও চাকরি দিয়ে আসছে পিএসসি। নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০ এবং সংশোধিত বিধিমালা-২০১৪ এর বিধান অনুযায়ী ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন, এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির ভিত্তিতে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১০ জুলাই থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। পরীক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের পছন্দমতো উত্তর দিতে পারেন সেজন্য এবার বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া এবার দু’জন পরীক্ষক দিয়ে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি জানিয়েছিলেন, দু‘জন পরীক্ষকের মধ্যে ২০ শতাংশ নম্বরের পার্থক্য হলে তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
এবার ১৩টি সাধারণ ক্যাডারে ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদে নিয়োগ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ