বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের আমতলায় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে উন্মুক্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এ অভিমত দেয়।
ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এই আলোচনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ছাত্রসংগঠনসমূহের তিনজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হলেও ছাত্রলীগ আলোচনায় অংশ নেয়নি। ছাত্রদল আলোচনায় অংশ নিতে আসলেও ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে তারা চলে যায়। তবে বাম ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহদী বলেন, আজকে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীলতার দোহাই দিয়ে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করা হচ্ছে। সিনেট অধিবেশনে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকার কারণে ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকার নিয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না। অস্থিতিশীলতার দোহাই দিয়ে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে রাখা হয়েছে।
আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল হক ইশতিয়াক বলেন, আমাদের বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু করা হচ্ছে। যেটার বিরুদ্ধে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করছে। আজকে ডাকসু প্রতিনিধি না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে। ডাকসু নির্বাচন হলে ছাত্রবিরোধী কোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারবে না।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তুহিন কান্তি দাস বলেন, রাষ্ট্রপতির ডাকসু নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা নিতে বললেও কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রশাসন সম্মুখে এক ধরনের কথা বলে আবার পিছনে অন্য কথা বলে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এসকেবি/আরআই