বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত কয়েকটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন ওই শিক্ষক। তাঁর এই অবস্থান কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে দুর্নীতি, দায়সারাভাবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ৩১ জুলাই আসাদুজ্জামান তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তথ্য প্রমাণাদিসহ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করতে ৭ কার্যদিবস সময় বেঁধে দিয়ে গত ৯ জুলাই তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর
ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।
অবস্থানকালে মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। উপাচার্য নিজে বলেছেন ভাস্কর্য নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা
হয়েছে। আমি সেই প্রেক্ষিতেই স্ট্যাটাস দিয়েছি। এই প্রেক্ষিতে আমাকে হয়রানি করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। আমি চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। ’ আগামী রোববার সকাল থেকে পুনরায় অবস্থান নেবেন বলেও জানান ঐ শিক্ষক।
এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফ বলেন, ‘তার কাছে যদি কোন তথ্য প্রমাণ থাকে তো তা উপস্থাপন করবেন। এ জন্যই চিঠি দেওয়া হয়েছে। ’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংকুচিত জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্রটিপূর্ণ ভাস্কর্য নির্মাণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, শাখা ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সেই ভাস্কর্য সরিয়ে নতুন ভাস্কর্য স্থাপন করে প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
আরআই