বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই ক্যাম্পাসের মূল ফটকে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ।
জানা যায়, শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলোচনা সভা চলছিল প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে।
তবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এটা ক্লাস ছিলো না। তারা পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি বিষয় না বুঝায় ওই শিক্ষককে বললে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ৪৮ জনের মধ্যে ১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে অনানুষ্ঠনিকভাবে স্যারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ’এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ক্লাস নিচ্ছিলাম না। পরীক্ষার জন্য ওই ব্যাচের ক্লাস আগেই বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা চলমান থাকলে কিভাবে ক্লাস হতে পারে। আমি ক্যাম্পাসে অন্যায়-অবিচার নিয়ে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ’
এদিকে বুধবারও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো, আসাদুজ্জামান চতুর্থ দিনের মত দুর্নীতি বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিঠি দেওয়ায় গত বৃস্পতিবার থেকে অবস্থান করে আসছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এএটি/