বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আয়োজনে রোববার (২০ আগস্ট) দিনব্যাপী কর্মসূচির আওতায় এই শিক্ষার্থীদের প্রকল্প সাইটের বিভিন্ন অংশ ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
বাৎসরিক গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে এই শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
পরমাণু শক্তি কমিশন ও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প কর্মকর্তারা এই শিক্ষার্থীদেরকে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাস্তবায়ন সম্পর্কে বিশদভাবে অবহিত করেন। এই ভবিষ্যত পরমাণু বিশেষজ্ঞদের নির্মাণাধীন প্রকল্প সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করাই ছিল এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
এ প্রসঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, দেশে একটি উন্নত ও টেকসই পারমাণবিক অবকাঠামো নির্মাণে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। রাশিয়ায় পরমাণু বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতার বলে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করার এবং অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ পাবেন।
প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন শেষে রাশিয়ার মেফির (মস্কো ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স ইনস্টিটিউট) নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী জাইমা হক বলেন, দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পেলে নিজেকে গর্বিত মনে করব। আমি আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মেধা দিয়ে দেশের পরমাণু শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে চাই।
একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়নরত মাসুদুর রহমান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে মাধ্যমে আমরা বিশ্বের নিউক্লিয়ার এলিট ক্লাবে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে দেশের স্বার্থে আমি কাজ করে যাবো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। প্রকল্পে সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে, যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২,০০ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
এসকে/আরআই