বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে ১৩টি হল, শিক্ষকদের জন্য রয়েছে কোয়ার্টার। আরো গড়ে উঠেছে অসংখ্য খাবার হোটেল ও স্টেশনারি দোকান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়াসিন মোড়ের দোকানদার ও সেখানকার বাসিন্দারা বলেন, প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন ট্রাকে ও ভ্যানে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের ময়লা কোনো ব্যবস্থাপনা ছাড়াই এই রেললাইনের আশপাশে এনে ফেলা হচ্ছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে সেগুলো পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
হোটেলের আবর্জনা ফেলার বিষয়ে জব্বার মোড়ের এক হোটেল মালিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন করে দেয়ার কথা থাকলেও এখনো নির্দিষ্ট জায়গা দেয়া হয় নি। তাই আমরা আমাদের সব আবর্জনা হোটেলের পেছনের ডোবায় ফেলে দেই।
এছাড়া প্রায় প্রতিটি হলের আবর্জনা হলগুলোর সামনে বা পেছনে ফেলা হয়। কয়েকটি হলের জন্য ডাস্টবিন থাকলেও সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে দুর্গন্ধে সেগুলোর সামনে দিয়ে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সঠিক উপায়ে এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রবও লক্ষণীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ময়লা অপসারণে প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়েজ আহমদ বলেন, হোটেলগুলোর পাশেই আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে সহজেই রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে বায়ু বাহিত ও পানি বাহিত রোগ যেমন ডায়রিয়া, আমাশয়ের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া আবর্জনা পরিবেশের জন্যও যথেষ্ট ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখার নির্বাহী মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জব্বারের মোড় থেকে প্রতি ৩ দিন পর পর আমরা ময়লা অপসারণ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু দোকানদাররা অতিরিক্ত ময়লা ফেলায় আমরা একেবারে পরিষ্কার করতে পারছি না। এছাড়া অন্যান্য সব হল ও কোয়ার্টার থেকে ময়লা আবর্জনা নিয়ে ইয়াসিনের মোড়ে ফেলা হয়। সেখানে একটি বড় ডাস্টবিন করার অনুমোদন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
জেডএম/