বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মুজিব সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
তবে, এ ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ তার সফরসঙ্গীরা বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।

এ সময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বহরে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন, মন্ত্রীর পিএস জাকির হোসেনসহ অন্যরা বেশ বিব্রত হয়ে শিক্ষকদের এ ধরণের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে মন্ত্রী ওই নারী শিক্ষকের মাথায় হাত দিয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
পরে শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দাবি আদায়ের আন্দোলনের নামে আপনাদের এ ধরণের আচরণে গোটা শিক্ষক সমাজের মানহানি হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমপিওভুক্তির ব্যাপারে চেষ্টা করছি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় না হওয়া পর্যন্ত কিছুই সম্ভব না, তবুও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। অর্থমন্ত্রীর হাতে-পায়ে ধরেছি। অনেক চেষ্টায় তিনি কিছুটা নরম হয়েছেন। এমনকি, শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসনে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে একটি কমিটি করেছে। এ কমিটি অর্থছাড়ের ব্যাপারে চেষ্টা করছে।
আমি ঢাকায় গিয়ে অর্থমন্ত্রীকে বলবো যশোরের শিক্ষকরা আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে একটু নজর দেওয়ার আবেদন করেছেন। আপনারা দোয়া করেন যাতে অর্থমন্ত্রীর মন একটু নরম হয়। তাহলেই সব সমস্যা কেটে যাবে। তবে আগামীতে এ ধরণের কাজ পরিহার করার কথা বলেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
বিএস