এ চাঁদার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাস ছুটির আগে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হলেন- রাতুল, সাগর, ওবাইদুর, আলভিন, সোহান ও মাহফুজ। তারা স্থানীয় সুমনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জবির 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার সময় মোবাইল অথবা ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে ভর্তিচ্ছুরা। তাদের দুর্ভোগের সুযোগে জবি ছাত্রলীগের কয়েকজনকর্মী "ভারটেক্স গ্রুপ" এর ব্যনারে ভর্তিচ্ছুদের ব্যাগ ও মোবাইল জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে রোহিঙ্গাদের সহায়তার কথা বলে মোবাইল ও ব্যাগ একঘণ্টা জমা রাখার বিনিময়ে তারা ৫০-১০০ টাকা চাঁদা তোলেন। পরবর্তীতে তাদের সোমবার চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় সোমবার বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
এসময় তাদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এতে ছয়জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বাংলানিউজকে জানান, ‘কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ’
চাঁদা তোলার বিষয়ে তিনি আরও জানান, ‘ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ সম্পূর্ণ অবৈধ। 'ভারটেক্স গ্রুপ' নামে জবিতে কোনো সংগঠন নেই। সাতজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত করে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
ডিআর/এএটি/