বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে অধিভুক্ত কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি নজরুল কলেজের শাহ পরাণ। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ৯ মাস ধরে ২০১১-২০১২ সেশনের রেজাল্ট আটকে আছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্যরা ১৪ মে ২০১৭ তারিখে রেজাল্ট পেয়েছে। কিন্তু আমরা অধিভুক্ত হওয়ায় এখনো পাইনি।
তিনি বলেন, আমাদের সহপাঠীরা রেজাল্ট পাওয়ার পর মাস্টার্সে ভর্তি হলেও আমরা কিছু করতে পারছি না। আমরা ধ্বংসের মুখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখন আমাদের আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই।
সংবাদ সম্মেলনে থেকে ৫টি দাবি জানানো হয়, ১২শ ছাত্রের মামলা প্রত্যাহার, ৪র্থ/২য় বর্ষের ফলাফল অবিলম্বে প্রকাশ, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, ৩য় বর্ষের রুটিন প্রকাশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট খোলা।
কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল, চলাফেরায় বিঘ্ন হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত। আমরাও কাজ করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যে কোনো আন্দোলনে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এসকেবি/এএ