ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভা

যশোর : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) হল দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসানসহ সাত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

একইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের ও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
শনিবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন-  জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম শামীম হাসান ও বিপ্লব কুমার দে (শান্ত), পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির ফয়সাল, শারীরিক শিক্ষক ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল মামুন সিমন ও মাসুদুর রহমান রনি এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ তানিন ও আশিক খন্দকার।  

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কৃতদের দলীয় পদ-পদবী উল্লেখ না করা হলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন-  বহিষ্কৃতদের মধ্যে এস এম শামীম হাসান যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, বিপ্লব কুমার দে (শান্ত) যবিপ্রবির শহীদ মশিউর রহমান হল শাখার সভাপতি এবং অন্যরা ছাত্রলীগের সাধারণ গ্রপের নেতাকর্মী।

এছাড়াও এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. নাসিম রেজাকে। সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ড. মো. ওমর ফারুক ও বিএনসিসির পরিচালক প্রভাস চন্দ্র রায়। সদস্যসচিব করা হয়েছে সহকারী পরিচালক (প ও উ) ড. আবদুর রউফকে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায় প্রক্টর বোডির রিপোর্ট, প্রভোস্ট বডির রিপোর্ট পাঠ ও পর্যালোচনা করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া দাবিগুলোও পাঠ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ৫ অক্টোবর সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার সময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করায় প্রক্টোরিয়াল বডি, প্রভোস্ট বডি, ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।  
রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ আবুল হোসেন, যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, যবিপ্রবির জীব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ড. মো. ওমর ফারুক, যশোর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তোরাব মোহাম্মদ হাসান এবং যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।  

উপস্থিত সকলেই উপাচার্যের পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানান, প্রশংসা করেন এবং তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা উত্তরণে সহযোগিতা করায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।  


বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা,  অক্টোবর ০৭, ২০১৭
বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।