বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
পরে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউটের অভিবাদন গ্রহণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন উপাচার্য।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অংশগ্রহণে আয়োজিত দিনব্যাপী একাডেমিক ফেয়ার ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। এছাড়াও সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য জনাব এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি।
বিশেষ অতিথি থাকবেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি। এছাড়াও ‘মানব উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের প্রশাসক ও বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেবেন গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. আর এম হাফিজুর রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় চিলেকোঠা ও অগ্নিস্নান ব্যান্ড দলের অংশগ্রহণে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবেসের নানা কর্মসূচি উপলক্ষে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, নিরাপত্তা শাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত আনসার বাহিনী ও পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যবৃন্দসহ বাইরে থেকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে তিনটি অনুষদের অধীনে ৬টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে তিনটি, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে চারটি, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি এবং ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে আরো একটি মোট ১৫টি নতুন বিভাগ খোলা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
এমজেএফ