আটক পরীক্ষার্থী হলেন- শওকত হোসেন চৌধুরী (রোল নম্বর-১০৬৯৭৭), মো. নাজমুল ইসলাম (রোল নম্বর-১০৫৩১৭), মো. মেহেদী হাসান মিতুল (রোল নম্বর-১০৮২৬৮), আয়শা আক্তার (রোল নম্বর-১০২৫৮৬) ও মো. রেদোয়ান ইসলাম (রোল নম্বর- ১৩৪৬৭০)।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভর্তি পরীক্ষা শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রুনা লায়লা এ রায় দেন।
আটক পরীক্ষার্থীরা আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পূর্বে জবি ক্যাম্পাসের সামন থেকে সন্দেহ হলে শওকত হোসেন চৌধুরী ও আয়শা আক্তার লতা নামে দুই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন জব্দ করে প্রক্টররিয়াল বডি। পরে পরীক্ষা শেষে তাদের প্রক্টর কার্যালয়ে ডেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। এসময় শওকত হোসেন ও আয়শা আক্তার লতা কাছ থেকে লিখিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে আদালত তাদের পরীক্ষা বাতিলের রায় দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগেই তাদের মোবাইল জব্দ করা হয়। তবে তাদের পরীক্ষার দিতে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত ডেকে পাঠান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের পরীক্ষা বাতিলের রায় দেন।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তরসহ তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাজেশন পড়া অবস্থায় তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের অপরাধে তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
একই অভিযোগে মুসলিম গভর্নমেন্ট স্কুল কেন্দ্রে ভর্তিচ্ছু মেহেদী হাসান ও নাজমুল ইসলাম নামে দুই শিক্ষার্থীর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এরআগে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর বাইরের মোট ২৭টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়। এবার বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ৭৯৭টি আসনের বিপরীতে ৫৯ হাজার ৪৩৩ জন অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
ডিআর/ওএইচ/