সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে আরম্ভ হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রশ্ন ফাঁসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শাখা ছাত্রফ্রন্ট সভাপতি মেহেরাব আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু কেউ সেটা টাকার বিনিময়ে নিয়ে, ক্যাম্পাসে এসে অপকর্ম করে বেড়াবে তা হতে পারে না। আমরা প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
শাখা ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ভাবেই এড়াতে পারে না। অতি দ্রুত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করতে হবে । তা না হলে প্রগতিশীল ছাত্রজোট কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
শাখা ছাত্রফ্রন্টের অপর অংশের সভাপতি মুজাহিদ অনিক বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তার রিপোর্ট দ্রুত পেশ করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা এবং পরীক্ষা বাতিল করে দ্রুত পুনরায় পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করতে হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য রাকিবুল ইসলাম।
সমাবেশ শেষে ছাত্রজোট তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
নতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী গণভোট সংগ্রহ ও প্রতিবাদী কার্টুন প্রদর্শনী, দুপুরে শিক্ষক-ছাত্র সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময়, বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভিসি ভবনের সামনে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ ও গণভোটের রায় প্রকাশ করার ঘোষণা দেন নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
ডিআর/আরআই