দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মনির হোসেন ঢাবির আইন বিভাগ থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছে। তিনি ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের জহরুল হক হলের (টিনশেড ১০০৫ নম্বর রুমের) আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
মনির মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার বালুচর ইউনিয়েনের খাসকান্দি গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টায় ‘এফ’ (আইন ও বিচার বিভাগ) ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা চলাকালে পাবলিক ও হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগে ২ নম্বর রুম থেকে তাকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘এফ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ওমর ফারুক বাবু (রোল নম্বর ৬২০৩২৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে জাবিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেতুর সঙ্গে এক লক্ষ টাকার চুক্তি করে মনির।
পরে চুক্তি অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুর ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে প্রবেশ পত্রের ছবির মিল খুঁজে না পাওয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক শরিফ হোসেন তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথা শিকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এর আগেও মনির হোসেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তি করে প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছেন বলেও জানান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৮০ এর ৩ (খ) ধারা অনুসারে মনিরকে এক বছরে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রাকিবুল হাসান নামে ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ৪৬তম ব্যাচের মোহাইমিনুল ইসলাম সালমানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে জাবির প্রথম বর্ষের আটদিন ব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
জিপি