রাত গভীর হতেই অসাধু শিক্ষার্থীদের যোগসাজশে বাড়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাদকসেবন ও অসামাজিক নানা কাজ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে প্রায় ৭০টি সড়কবাতির মধ্যে ভালো রয়েছে মাত্র ৩৬টি।
দীর্ঘদিন ধরেই অকেজো হয়ে আছে অন্তত ৩৪টি সড়ক বাতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট থেকে দ্বিতীয় গেট পর্যন্ত ক্যাম্পাসের প্রধান রাস্তা হিসেবে পরিচিত। এ রাস্তায় ২৪টি সড়কবাতির মধ্যে ভালো রয়েছে সাকুল্যে ৭টি। আলোর অভাবে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী, রিকশা ও গাড়ি চালকদের।
পুরো রাস্তা জুড়েই খানাখন্দ থাকায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। বৃষ্টি হলেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে ৮৭ একরের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাগুলো।
আবাসিক হলগুলোর আশেপাশে নেই কোনো আলোর ব্যবস্থা। মোবাইল ফোনের আলো কিংবা প্রতিদিন এ পথ দিয়ে চলার অভ্যাসেই রাস্তা চলতে হয় হলের শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসের প্রধান রাস্তা ও আবাসিক হল সংলগ্ন সড়কবাতি নষ্ট থাকলেও শিক্ষকদের আবাসিক ভবন সংলগ্ন রাস্তায় প্রায় সব সড়কবাতিই জ্বলতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরিদি হাসান বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা গর্ত হয়ে অনেক জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। দিনের বেলা দুর্ঘটনা কম হলেও রাতে অন্ধকারে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বজ্রপাতের কারণে বেশ কিছু লাইনে সমস্যা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে রাতের অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন অক্সফোর্ড রোড, আম্রকানন ও গবেষণা মাঠে চলে মাদকসেবন ও অসামাজিক নানা কাজ। ক্যাম্পাসের কিছু অসাধু শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় বহিরাগতদের এ দৌরাত্ম্য নিত্যদিনের চিত্র।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গবেষণা মাঠে রাত ৮টায় তালা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু ছাত্ররা তালা ভেঙে ফেলেছে। মাঠে গার্ডের ব্যবস্থা করলে ছাত্ররা গার্ডদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে।
তবে অতি সত্বর এ সমস্যার একটি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
জিপি