শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ওই চক্রের মাস্টারমাইন্ড ঢাবির দুই ছাত্র এবং এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মাস্টার কার্ড সদৃশ কমিউনিকেশন ডিভাইস, ক্ষুদ্র ইয়ারপিস ও মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডির অভিযানে চক্রের মূল হোতা আবদুল্লাহ আল মামুনকে ঢাবির একুশে হল থেকে এবং মহিউদ্দিন রানাকে শহিদুল্লাহ হল থেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে মামুন ঢাবির অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং রানা ফিজিক্সে মাস্টার্স করছেন।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা কেন্দ্র ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে অসদুপায় অবলম্বনকারী ইশরাক আহমেদ রাফীকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দুইজন ২ থেকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি বিশেষ কমিউনিকেশনস ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শারমিন জাহান বাংলানিউজকে জানান, আধুনিক একটি কমিউনিকেশনস ডিভাইস (মাস্টার কার্ড সদৃশ) ও অতিক্ষুদ্র ইয়ারপিস ব্যবহার করে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্নের উত্তর বলে দিতো চক্রের সদস্যরা। শিক্ষার্থীরা মাস্টার কার্ড সদৃশ ওই ডিভাইস মানিব্যাগে রেখে কানে ইয়ারপিস দিয়ে অপর প্রান্তে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সেট নম্বর বললেই অপর প্রান্ত থেকে উত্তর বলে দিতো প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
অভিনব পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এবং ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জাবি) অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো এ চক্রের সদস্যরা।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান শারমীন জাহান
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/