তারা বলেন, জাতীয়করণ করা কলেজের শিক্ষকরা ক্যাডারভুক্ত হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে নতুন প্রজন্মের মেধাবী শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভবিষ্যতে শিক্ষা ক্যাডার কোনোভাবেই মেধাবীদের আকর্ষণ করতে পারবে না।
রোববার (২২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বিসিএস পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত না হয়ে ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশের যেকোনো উদ্যোগ প্রতিহত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তারা। এর ধারাবাহিকতায় অহিংস আন্দোলনে নামতে, এমনকি আদালতের শরণাপন্ন হবেন তারা।
তাদের যুক্তি হচ্ছে, বিধিমালা ২০০০ অনুযায়ী আত্তীকরণ হলে ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকৃত হবেন। এটা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস ১০৮০ ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট ১৯৮১-এর পরিপন্থি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয়করণের জন্য ঘোষিত বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন, নন-ক্যাডার ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত নিদের্শনা বিধিমালায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তা না হলে ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি মহাসমাবেশ ডেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
নেতারা বলেন, ক্যাডারের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক সংখ্যালঘু অংশে পরিণত হবে। যা ক্যাডারের শৃঙ্খলায় বিপর্যয় নিয়ে আসবে।
তাদের কয়েকটি দাবির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে জাতীয়করণকৃত কলেজের শিক্ষকদের নন ক্যাডার করে তাদের চাকুরি নিজ নিজ কলেজে সুনির্দিষ্ট করা, জাতীয়করণের আদেশ জারির আগেই বিধিমালা প্রণয়ন, বিসিএস ছাড়া ক্যাডারভূক্ত না করা ও সরকারি করা ১২টি মডেল কলেজের শিক্ষকদেরও অনুরূপ বিধিমালার আওতায় আনা।
তবে কলেজ জাতীয়করণের ক্ষেত্রে এরই মধ্যে ‘জাতীয় করণকৃত কলেজের শিক্ষকগণ স্ব-স্ব কলেজ হতে অন্য কলেজে বদলী হতে পারবে না’ মর্মে একটি অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ অনুশাসন জাতীয়করণকৃত কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভূক্ত না হওয়ারই ইঙ্গিত দেয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিসিএস শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সাব্বীর আহমদ।
মতবিনিময়কালে বক্তব্য রাখেন সমিতির জেলা সভাপতি ও এমসি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আ ন ম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক এমসি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তৌফিক এজদানি চৌধুরী, সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক ফাহিমা জীনু বায়েন, সহযোগী অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল ও সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়:১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এনইউ/জেএম