বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার দপ্তরের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বরখাস্তকৃত দুই শিক্ষক হলেন- নোবিপ্রবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদ আলম এবং ফার্মেসি সহকারী অধ্যাপক বিভাগের বিশ্বনাথ দাস।
গত ৩০ আগস্ট এবং ২১ অক্টোবর ২০১৭ অনুষ্ঠিত নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৩১ ও ৩২ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বরখাস্ত করা হয়।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক মো. মাসুদ আলম ২০১২ সালের অক্টোবরে পিএইচডি ডিগ্রি করতে শিক্ষা ছুটিতে জাপান যান। পিএইচডি সম্পন্ন করে নিয়মানুযায়ী তার বিভাগে যোগদান করার কথা। কিন্তু তিনি যোগদান না করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং জিও (সরকারি আদেশ) ব্যতিত ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই পুনরায় দেশ ত্যাগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতীয় দুটি পত্রিকায় তাকে কারণ দর্শানোর চূড়ান্ত নোটিশ দেন। কিন্তু তিনি ওই নোটিশের কোনো জবাব দেননি।
এদিকে, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক বিশ্বনাথ দাস ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে পিইচডি করতে কোরিয়ায় যান। তিনি ২০১৬-এর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাছুটি ভোগ করেন। ছুটির মেয়াদ শেষে বিধি অনুযায়ী বিভাগে যোগদানের প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলেও তিনি যোগদান করেননি এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। পরবর্তীতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে, অনুপস্থিতির কোনো সদুত্তর দেননি।
এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধি লংঘনের অভিযোগে তাদের স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দেনা পরিশোধের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এনটি