এ বছর ১ হাজার ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮০ জন শিক্ষার্থী ১৩১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে মেয়ে ৭৮ হাজার ৫২০ এবং ছেলে ৫৯ হাজার ৬০ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ১ নভেম্বর বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে সিলেট থেকে অংশ নিচ্ছে ৪৯ হাজার ৬৬৯ জন পরিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছেলে ২১ হাজার ৬৭৭, মেয়ে ২৭ হাজার ৯৯২ জন। এদের মধ্যে অনিয়মিত হিসেবে অংশ নেবে ১ হাজার ৮৭৯ জন পরীক্ষার্থী।
হবিগঞ্জে ২৭ হাজার ৯৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ২১ হাজার ৭২৫ এবং মেয়ে ১৬ হাজার ২৪১ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ২৪৮ জন অনিয়মিত।
মৌলভীবাজারে ২৯ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে ১২ হাজার ৩২২ জন ছেলে ও ১৭ হাজার ১৫৬ জন মেয়ে। এরমধ্যে অনিয়মিত ১ হাজার ৫০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সুনামগঞ্জে ৩০ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৩৩৬ জন ছেলে ১৭ হাজার ১৩১ জন মেয়ে। অনিয়মিত রয়েছে ১ হাজার ৩৫০ জন।
সিলেটে জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ দরিদ্র। যে কারণে বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করার আগেই ছেলেদের কর্মে নিয়োজিত করে পরিবার। যে কারণে ছেলেদের ঝরে পড়ার হার বেশি।
বোর্ডের তথ্য মতে, গত বছর ১ হাজার ৪টি বিদ্যালয়ের ১লাখ ৩২ হাজার ৯শ’ ৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে নিয়মিত ১ লাখ ২৬ হাজার ৬শ’ ৯৭ এবং অনিয়মিত ৬ হাজার ২শ’ ৭২ জন শিক্ষার্থী ছিল। গত বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছিল ছেলে ৫৭ হাজার ৯শ’ ৩১ এবং মেয়ে ৭৫ হাজার ৩৮জন। এরআগে ২০১৫ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৯শ’ ৫২ জন। ওই বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৭শ’ ১৩ এবং অনিয়মিত ৬ হাজার ২শ’ ৩৯ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার বাংলানিউজকে বলেন, ১ নভেম্বর থেকে যথাসময়ে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষার সকল সরঞ্জামাদি উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেএসসির জন্য দুই সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। কোন সেট দিয়ে পরীক্ষা হবে তা ওইদিন সকালে মোবাইল ফোনে এসএমএস’র মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এনইউ/এমজেএফ