বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মামলা দায়েরের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান। মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দুপুরে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, ভিসি স্যার শান্তকে বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। শান্তর বিরুদ্ধে থানায় মামলাও চলবে। আমরাও বহিষ্কার করবো। মিঠুনের ডান হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনই চাই না কোন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হোক। কিন্তু শান্ত যেভাবে মিঠুই বাড়ৈইকে জখম করেছে তা খুব গর্হিত কাজ। তার সর্বোচ্চ শাস্তিই পাবে।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে জবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিথুন বাড়ৈ অগ্রণী ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে যান। এ সময় লাইন ভঙ্গ করে জবি উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম শান্ত। এতে মিঠুন বাড়ৈ বাধা দেন। এ সময় শান্তর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন মিঠুন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মিথুন ও শান্তর মাঝে হাতাহাতি হয়। কিছুক্ষণ পর শান্তও পাল্টা আঘাত হিসেবে সঙ্গে থাকা খুর দিয়ে মিথুনকে পোচ দেন। এতে মিথুনের ডান হাতে জখম হয়। পোচ দিয়ে পেছনের গেট দিয়ে শান্ত পালিয়ে যান। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে মিথুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে মিঠুন বাড়ৈইকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম শান্ত নিজেকে জবি ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মী বলে পরিচয় দিলেও তরিকুল ইসলাম তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এদিকে মিঠুন বাড়ৈই জবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
ডিআর/আরআই