বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ব্যবসায় অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা যায়, গত কমিটিতে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বর্তমান কমিটির ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের অনুসারীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় মেহেদী। তারপর থেকেই মেহেদীকে মারার জন্য ইস্যু খুঁজতে থাকে সাধারণ সম্পাদক অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা।
সম্প্রতি মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছে বলে ইস্যু তৈরি করে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।
বুধবার মেহেদীকে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের সামনে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী বিপুল, আবির, হামিদসহ সাত/আটজন মারধর করেন। পরে সেখান উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি করেন। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘তাকে মারধর করা হয়নি। তবে পাবনা জেলা কল্যাণ সমিতির কমিটি নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। ’
এ ঘটনায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মারধরকারীদের কারো বাড়ি পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত নয়।
এ বিষয়ে মেহেদী বলেন, ‘আগের কমিটিতে আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের গ্রুপে ছিলাম। বর্তমান কমিটিতে আমি সভাপতি গ্রুপের রাজনীতি করায় আমাকে মারধর করার জন্য তারা ইস্যু খুঁজতে থাকে। পরে শেখপাড়া বাজার নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে তারা আমাকে মারধর করে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
আরবি/