আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও মাস্টার্সের (ফিজিক্স) ছাত্র মহিউদ্দিন রানা এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনকারী ইশরাক আহমেদ রাফী।
গ্রেফতারকৃত অন্য আসামি ঢাবি’র অ্যাপ্লাইড ক্যামিস্ট্রি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেফতারের পরদিন গত ২১ অক্টোবর হাজির করা হলে তিন আসামির প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) তাদেরকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। দুই ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও প্রণব কুমার হুই আসামি মহিউদ্দিন রানা ও ইশরাক আহমেদ রাফীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। অপর ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীব আবদুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় আসামিদের গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে, ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আসামিরা আধুনিক একটি কমিউনিকেশনস ডিভাইস (মাস্টারকার্ড সদৃশ) ও অতিক্ষুদ্র এয়ারপিস ব্যবহার করে পরীক্ষার হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্নের উত্তর বলে দিতেন। শিক্ষার্থীরা মাস্টার কার্ড সদৃশ ওই ডিভাইস মানিব্যাগে রেখে কানে এয়ারপিস দিয়ে অপর প্রান্তে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সেট নম্বর বললেই ওপার থেকে উত্তর বলে দিতেন গ্রেফতারকৃতরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর