এমনকি প্রধান শিক্ষক ছাড়াই একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও অন্য একজন সহকারী শিক্ষককে দিয়ে চলছে স্কুলটির সার্বিক কার্যক্রম। ফলে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটছে।
এলাকাবাসী বলছেন, দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে আসতে বা থাকতে চান না শিক্ষকরা। কেউ কেউ কিছুদিন থাকলেও বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানিয়ে চাকরি ছেড়ে বা বদলি হয়ে চলে যান। উপজেলা শিক্ষা কমিটিকে বিষয়টি জানানো হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
নরসিংদী সদর উপজেলা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্কুলটিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সালে স্থাপিত এ স্কুলে শিক্ষক সংকট সব সময়ই ছিল। শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে ৫৪৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৬১ জন ছাত্র ও ২৮৬ জন ছাত্রী। মাত্র দু’জন শিক্ষককে এতো বেশি শিক্ষার্থীকে সামাল দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিক্ষক স্বল্পতায় শ্রেণিকক্ষের পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরাও।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জামিলা বেগম বলেন, ‘আটজন শিক্ষকের স্থলে আমি ও অন্য একজন শিক্ষক কর্মরত। মাসিক সমন্বয় সভা ও অফিসিয়াল কাজ ছাড়াও একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে স্কুলের সমস্ত কিছু সামাল দিতে হয়। শিক্ষক না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার চরম ব্যাঘাত ঘটছে’।
‘নতুন শিক্ষকরা আসতে বা থাকতে চান না। নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলেই চলে যান পুরনোরাও। শিক্ষক সংকটের বিষয়টি স্থানীয় সরকারসহ ঊর্ধ্বতন সব মহলে লিখিতভাবে জানিয়েছি’।
অভিভাবকরা বলছেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় ক্লাসে সঠিকভাবে লেখাপড়া হচ্ছে না। বার্ষিক পরীক্ষায় আশানুরুপ ফলাফল নিয়ে তারা চিন্তিত। অতি দ্রুত শিক্ষক সমস্যার সমাধান ও ক্লাসে নিয়মিত পড়াশোনা করানো হলে ছেলে-মেয়েরা ভালো ফলাফল করতে পারবে বলেও মনে করছেন তারা।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেমের অভিযোগ, স্কুলটি অনেকদিনের পুরনো হলেও শিক্ষক না থাকাসহ নানাভাবে অবহেলিত। গত ০৪ এপ্রিল থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। শিক্ষার্থীরা প্রায় সময়ই স্কুলে এসে বসে থাকে। আমরা বিভিন্নভাবে শিক্ষক শূন্যতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এএসআর