ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবি ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, আহত ৫

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
জবি ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, আহত ৫ জবি ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, আহত ৫

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় রড-লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ৫ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম ব্যাচের সুজন দাস অর্ক, ইংরেজি বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম আশিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাওয়াত ইসলাম, এগারতম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাগর, দশ ব্যাচের নাবিল এবং সজল।  

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

 

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, সুজন দাস অর্ক নামের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কর্মীর সঙ্গে সভাপতি গ্রুপের কর্মী সদ্য ঘোষিত জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিসাদের চাঁদার টাকার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে মূল ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে রিসাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে দলবল নিয়ে অর্কের উপর হামলা চালালে অর্কে সঙ্গে থাকা সহপাঠীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আহত হয় সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নাল আবেদীন রাসেল গ্রুপের ওই পাঁচ কর্মী। পরে ঘটনা শুনে সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল ও সভাপতি তারিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসে এলে তাদের সরাসরি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল বলেন, আমরা কমিটিতে আসার পরেই জবি টিএসসিকে দখলমুক্ত করেছি। টিএসসিতে কোনো দোকান ছিল না। কিন্তু সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুর্যের কর্মী ছাত্রলীগ নামধারী রিসাদ টিএসসিতে একটি দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজী শুরু করে। এতে অর্ক তাকে বাধা দিতে গেলে সে অর্কের উপর সদলবলে হামলা করে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তবে তরিকুল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ছাত্রলীগের কেউ টিএসসির চাঁদাবাজীর সঙ্গে জড়িত নই। রিসাদ আমার কর্মী, তবে রাসেল বা আমার মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের কর্মের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করতে চায়। আমরা আহত সবার চিকিৎসার সুব্যবস্থা করছি। আর যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এবিষয়ে জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, আজ ক্যাম্পাস বন্ধ। কিন্তু আমি ছাত্রলীগের একটি সংঘর্ষের কথা শুনেছি। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কি কারণে এ সংঘর্ষ এ বিষয়ে কিছু জানা যায় নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আগের কোনো ঘটনার জের ধরে সম্ভবত আজকের ঘটনা ঘটেছে। আজকের মারামারি সম্ভবত পাল্টা মারামারি ছিল। ঘটনা শুরুর পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এতে কোনো পুলিশ সদস্য লাঞ্চিত হয়নি বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
ডিআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।