বাস্তবায়নকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) প্রকল্পটি সংশোধনের সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করেছে। সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপন করা হবে।
মাওশি সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মেয়াদ গত জুন মাসে শেষ হওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং বিপুল সংখ্যক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি আকারে সামাজিক সুবিধা দেওয়া অব্যাহত রাখার লক্ষ্যেই বাড়ছে মেয়াদ ও ব্যয়। এর ফলে স্কুল-মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।
৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন মেয়াদে শেষ হয়েছে। এখন মেয়াদ বেড়ে ২০১৯ সালের জুন ও ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা দাড়াচ্ছে। যা মূল প্রকল্পের চেয়ে ৫৩৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বা ৬৮ দশমিক ০৮ শতাংশ বেশি।
পুরো ব্যয় নির্বাহ করা হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।
বর্তমানে মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১০০ টাকা, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১২০ টাকা এবং ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা করে পাচ্ছে। সঙ্গে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক ১৫ টাকা এবং ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০ টাকা হারে টিউশন ফিও দেওয়া হচ্ছে।
এ হার অব্যাহত রেখে সংশোধিত প্রকল্পে এবারই প্রথম প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে (মোবাইল, বিকাশ বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতি) সরাসরি শিক্ষার্থীদের কাছে অর্থ পৌঁছানো হবে।
মাউশি মনে করে, চলমান প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে বিপুল সংখ্যক দরিদ্র শিক্ষার্থী সরকারের উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে ঝরে পড়বে। চলমান বৃত্তি প্রকল্পগুলোর মধ্যে বৃত্তির হার এখনও সমন্বিত ও চূড়ান্ত হয়নি বলেও প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। শিক্ষা খাতের সকল বৃত্তি কার্যক্রমকে এক জায়গায় আনার লক্ষ্যে একটি শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড কার্যকর করতেও আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ প্রধান এসএম গোলাম আলী বাংলানিউজকে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বৃত্তি প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যেভাবে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, সেভাবেই আরও দুই বছর দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর