স্কুলটির মালিক ও অভিভাবকদের করা পৃথক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) এ রুল জারি করেন।
রুলে লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমণ্ডি শাখা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড স্কুলের মালিককে স্কুলটি খোলা ও পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসব রিট করেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী রোববার (১২ নভেম্বর) এ রিট নিয়ে ফের শুনানি করবেন রাষ্ট্রপক্ষ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব সালমা জাহান গত সোমবার (০৬ নভেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্কুলটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছিল। তদন্তের পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি’।
স্কুলটির কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান যুগ্ম সচিব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মহানগরীর ধানমণ্ডি ও গুলশানে অবস্থিত লেকহেড গ্রামার স্কুলটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় এবং ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা দেওয়া, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতাসহ জাতীয়/স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো’।
এর আগে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড স্কুলটির বিষয়ে তদন্ত করে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ পায় বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুলটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ এবং কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ ছিলো। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
ইএস/এমএ/এএসআর
