ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার পক্ষে মত মন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার পক্ষে মত মন্ত্রীর বক্তব্য রাখছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান

ঢাকা:  প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার পক্ষে মত দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া সরকার যতো দিন সিদ্ধান্ত না নেবে ততো দিন প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে কি না? প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১০ এর শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এটা হতে পারে, সময় লাগছে, আমি আশাবাদী, আমি কখনও নিরাশ মানুষ নই, হতাশ মানুষ নই।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা হতেই হবে, এটা অনিবার্য, সময় কতটুকু নেবে সেটা আমি এই মুহূর্তে বলবো না কারণ এটার সাথে অনেকেই জড়িত। আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম, মাঝখানে থেমে গেছি, মানে চিরতরে থেমে গেছি এমন নয়। ক্লাস ফাইভের পরীক্ষা নিয়ে যে সার্টিফিকেটটা দিচ্ছি এটা দিয়ে কিন্তু একটা বাচ্চা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারছে না। আমরা ক্লাস এইট-টাকে যদি প্রাইমারির মধ্যে আনি তাহলে সেটা কারিগরি বা সাধারণ শিক্ষাই হোক এর মধ্যে দিয়ে কিন্তু সে একটা জব মার্কেটে প্রবেশ করার জন্য সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হবে। সেটার দিকেই সরকার যাবে। আমাদের অবকাঠামোগত, অন্যান্য ব্যাপার আছে, অনেক সমস্যা আছে। আমি মনে করি সরকার অনেক বড় বড় সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, আমি নিশ্চয়ই আশা করব সরকার এই ব্যাপারটাতেও উত্তরণ করতে পারবে। ”

এদিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়িতে এই পরীক্ষা হচ্ছে ২০১০ সাল থেকে। এই সমাপনী পরীক্ষা দিতে গিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ এবং প্রশ্ন ফাঁসের কারণে অল্প বয়সেই শিক্ষার্থীদের অসাধু প্রবণতায় ঝুঁকে যাওয়ার কারণে পরীক্ষা বাতিলের দাবি করে আসছেন অভিভাবকেরা।

এ পরিস্থিতিতে সমাপনী পরীক্ষা কতো দিন চলবে- জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই পরীক্ষাটি ততোদিন চলিবে যতোদিন সরকার এই সিদ্ধান্ত না বদল করবে। সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর এই পরীক্ষাটা হওয়া-না হওয়া নির্ভর করছে। এটা বন্ধ করবার বা এই দুটি পরীক্ষাকে একত্রিত করে একটা পরীক্ষা নেওয়ার আগে কথাবার্তা হয়েছিল এখন পর্যন্ত সেই নির্দেশনা আসেনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষা বোর্ড নেই। এই পরীক্ষা যদি চিরস্থায়ী হয় সেটাকে কনডাক্ট করার জন্য একটা বোর্ডের আবশ্যকতা বড় করেই দেখা দেবে।

আলাদা বোর্ড না থাকায় প্রশ্ন ফাঁস বা উত্তরপত্রে নম্বর পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এখন আমরা আমাদের শিক্ষকদের উপর নির্ভর করছি। একটি থানার পরীক্ষার খাতা অন্য থানার শিক্ষককে দিয়ে মূল্যায়ন করাচ্ছি। তার মধ্যেও কীভাবে তারা যেন যোগাযোগ করছে, অর্থাৎ টাকা এখন সব ব্যাংকে রাখতেছি তার পরেও হ্যাকিং হচ্ছে, এ রকম আরকি। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা যেমন অনেক কিছু সহজ করে ফেলছি, ওদের জন্যও কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে।

দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে প্রক্রিয়া থেমে আছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমার থেকে অনেক অভিজ্ঞ। উনি প্রায় ১০ বছর এই মন্ত্রণালয়ের সাথে আছেন। দুটো মন্ত্রণালয় উনি চালিয়েছেন। আমি নবীন মানুষ, আমি অল্প দিন হলো কাজ করছি। তবে এমন কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমাদের মতান্তর কখনও কখনও ছোটখাটো হতে পারে মতান্তর ঘটে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।