ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবির প্রথমবর্ষের ফলাফলে বিপর্যয়

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
শেকৃবির প্রথমবর্ষের ফলাফলে বিপর্যয়

ঢাকা: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১  পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে।

তিনটি অনুষদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৪৬৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ১৭৫ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র কৃষি অনুষদেই ৩৫৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ১৪০ জন।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রকাশিত ফলাফলে এসব তথ্য উঠে আসে।

শেকৃবি’তে জিপিএ-৪ স্কেলে পাশ ধরা হয় ২.৫০ এ। কোনো শিক্ষার্থী ২.৫০ বা এর বেশি পেয়েও যদি কোনো বিষয়ে ফেল করেন, তবে তিনি পুনরায় পরীক্ষা (মেক আপ) দেওয়ার সুযোগ পান।  

কৃষি অনুষদের ডীন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বোটানি বিষয়ে সর্বোচ্চ ১৪১ জন, কৃষি রসায়নে ১২৫, কৃষি অর্থনীতিতে ১২৩, মৃত্তিকা বিজ্ঞানে ১০৮ ও কৃষিতত্ত্বে ৬১ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এদের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ ৯ বিষয়ে ফেল করেছেন ২২ জন। ফেল করা এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা (মেক আপ) দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ৪৪ জন।  

অন্যদিকে, পশুপালন ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ৮৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৩০ জন। এর মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা (মেক আপ) দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ৭ জন।  

এছাড়া কৃষি ব্যবসা ও বিপণন অনুষদে ২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন ফেল করেছেন। যাদের ৪ জন পুনরায় পরীক্ষা (মেক আপ) দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।  

বাংলানিউজের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিবছর ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কৃষি অনুষদে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৩ জন ও পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ৩৪ জন এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন ফেল করা শিক্ষার্থীর মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ২২ জন। একই চিত্র অন্যান্য অনুষদেও দেখা গেছে।

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘কেনো এতো রেজাল্ট খারাপ হলো তা জানাতে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) মিটিং কল করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ের পর ফলাফলের এই বিপর্যয়ের কারণ জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিগত তিন বছরের ফলাফল বিবেচনা করলে দেখা যায় প্রতি বছরই ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। যারা ফেল করেছে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই ভর্তি পরীক্ষায় ডিভাইস দিয়ে চান্স পেয়েছে। ’  

ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে শেকৃবি’র সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছে। তারাও ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিকে দায়ী করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।