তারা হলেন- পৌরসভা ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন (৪৫) ও এবিসি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেন (৪০)।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে পিইসি গণিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের
চেষ্টার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই শিক্ষককে দণ্ড দেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন।
উপজেলা নির্বাহী অফিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিনগত রাত ১০টায় এক অভিভাবক গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন তার ছেলের কাছে পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই অভিভাবকে তার বাসায় প্রশ্নের কপিসহ আসতে বলেন। ওই অভিভাবক প্রশ্নের কপি নিয়ে এলে তিনি ওই এলাকায় কোনো শিক্ষক এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা সনাক্তের চেষ্টা করেন।
পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতায় পৌরসভা সদর থেকে ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে সনাক্ত করে রোববার সকালে আটক করেন।
আন্যদিকে রোববার গণিত পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে শিক্ষকের কপি মেলানো হলে উভয় প্রশ্ন ৯০ ভাগ মিল পাওয়া যায়। ওই প্রশ্ন কোথায় পাওয়া গেছে মোক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এবিসি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক নাজির হোসেনের নাম বলেন। পরে নাজির হোসেনকেও আটক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মডেল থানা ওসির জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমাকে জানানোর পর প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালিয়ে ওই দুই শিক্ষককে আটক করা হয়। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিনও একই কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
জেডএস