প্রায় অর্ধ কোটি টাকা উৎকোচ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দু’সপ্তাহ আগে আদালতে মামলাটি করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাবিয়া খন্দকার। শুনানি শেষে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুদককে নির্দেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আদালতের নির্দেশে মামলার অভিযোগপত্র দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। পরে অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোজাক্ষির হোসাইন জাকির জানান, স্কুলটির অনুমোদিত ৭টি শাখার প্রতি পদে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ রয়েছেন। এরপরও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম ভুয়া শাখা দেখিয়ে সৃষ্ট পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তি দেন।
ওই বিজ্ঞপ্তি মূলে মাবিয়া খন্দকার, রুকসানা বেগম ও দিলরুবা আক্তারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময় প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রতিজনের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা করে উৎকোচ নেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ০২ মে এমপিওভুক্ত করতে দু’জনের কাছ থেকে আরো তিন লাখ টাকা করে ছয় লাখ টাকা নেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষিকা রুকসানা বেগম ও দিলরুবা আক্তারকে এমপিওভুক্ত করা হয়। অন্য সহকারী শিক্ষিকা মাবিয়া খন্দকারের কাছ থেকে ২০১৪ সালের ০৮ জুন আরো দুই লাখ আশি হাজার টাকা নিয়েও তাকে এমপিও বঞ্চিত করেন।
শিক্ষক মাবিয়া খন্দকারের অভিযোগ, অতিরিক্ত তিনজন শিক্ষিকা ছাড়াও আগের সাতজনের কাছ থেকে আরো
২১ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এসব ঘটনায় সপ্তাহ দুয়েক আগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উৎকোচ বাবদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কমিটির দ্বন্দ্বে একটি পক্ষ এসব করাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এমএএএম/এএসআর