দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ও ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বক্স করে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করছে রোভার স্কাউট।
আর্ত-মানবতার সেবায় স্ব-স্পন্দনে উৎসাহিত হয়ে প্রচন্ড শীতে দরিদ্র অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নতুন ও পুরাতন উভয় ধরনের বস্ত্রই সংগ্রহ করছেন তারা।
রোভার স্কাউট গ্রুপের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এরকম কার্যক্রম শুরু করবেন বলেও জানা যায়।
শীতার্তদের জন্য বস্ত্র দান করতে আসা রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রহমান আতিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছে যারা শীতে প্রচন্ড কষ্ট করে জীবন ধারণ করে থাকে। আমরা সবাই যদি নতুন কিংবা পুরাতন বস্ত্র দিয়ে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই, তাহলে তাদের কষ্টের কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সবার কষ্ট হয়তো আমরা দূর করতে পারবো না কিন্তু কয়েকটি মানুষের পাশে আমরা স্ব প্রচেষ্টায় দাঁড়াতে পারি। ’
কথা হয় শীতবস্ত্র দান করতে আসা প্রথম বর্ষের অপর এক শিক্ষার্থী শফিকুর রহমানের সঙ্গে। তার মতে, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষ হতে হলে আমাদের সমাজের তথা সমগ্র দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। যেকোনো প্রতিকূলতায় গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
শীতবস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ সম্পর্কে জবির শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এরকম কার্যক্রম সবার আগে শুরু করার জন্য আমি জবির রোভার স্কাউটকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদেরও একটি পরিকল্পনা আছে প্রতিটি বিভাগ থেকে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করার। আমরা শিগিগরিই তা শুরু করতে যাচ্ছি। ’
শীতবস্ত্র সংগ্রহের উদ্যোগের বিষয় জবির রোভার-ইন-কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি তাজিন জাহেদ জনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশের নানা প্রান্তে শীতার্তদের মাঝে প্রতিবছরই শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। গত শীতে কুড়িগ্রামে অনেকগুলো পরিবারকে শীতবস্ত্র দান করা হয়েছিলো। এবারও শীতবস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য একটি রোভার ইন কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুবল চন্দ্র শীলকে আহ্বায়ক করে ৩০ সদস্যের একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। শীতকালীন অবকাশের সময় যখন ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাবে তখন এই শীতবস্ত্রগুলো শীতার্তদের মাঝে পৌঁছে দিয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
ডিআর/জিপি