ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবির ভর্তি পরীক্ষায় বাণিজ্য বিষয়ে অবাণিজ্য প্রশ্নপত্র

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
ইবির ভর্তি পরীক্ষায় বাণিজ্য বিষয়ে অবাণিজ্য প্রশ্নপত্র

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘জি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের অবাণিজ্য প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে তিন শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র ফেরত নেয়া হয় এবং তাদের তাৎক্ষণিক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উঠিয়ে বাণিজ্য অনুষদের ডিনের কার্যালয়ে নেয়া হয়।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় দিনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘জি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

দিনের প্রথম শিফটে বাণিজ্য বিভাগের ০০০০১ থেকে ৬৫০০ রোলধারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দিনের দ্বিতীয় শিফটে অবাণিজ্য (মানবিক, বিজ্ঞান) বিভাগের ০৬৫০১ থেকে অবশিষ্ট রোলধারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

হল পরিদর্শক সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় শিফটে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বেশ কয়েকজন বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীর হাতে অবাণিজ্য বিভাগের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। এসময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে হল পরিদর্শকের কাছে জানান। এসময় উপস্থিত হল পরিদর্শকরা সংশ্লিষ্ট ইউনিট সমন্বয়কারীদের জানালে ইউনিট সমন্বয়কারী সদস্যরা তাদের ওই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে বলে।  

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দিনের প্রথম শিফটে বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষা থাকলেও প্রবেশপত্রে দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ আছে। প্রবেশপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়। পরীক্ষা শুরু হলে অবাণিজ্য শিক্ষার্থীদের মতো তাদেরও অবাণিজ্য প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। বিষয়টি উপস্থিত স্যারদের জানালে তারা আমাদের ওই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে বলেন।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তিন শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র ফেরত নিয়ে তাদের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের ডিন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তিচ্ছু ওই তিন শিক্ষার্থীর নাম পলিনা খাতুন, সাকিব হাসান ও মামুন হোসাইন। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে উল্লেখিত তাদের রোল যথাক্রমে জি-০৬৫২৩, জি-০৯১৮৩ এবং জি-০৭৭০১।

পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে কম্পিউটার সেন্টারের টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এ সমস্যাটি হয়েছে বলে জানায় তারা। একই সঙ্গে ৫ তারিখ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর ওই তিন শিক্ষার্থীসহ ৭ থেকে ৮ জন শিক্ষার্থীর পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘যেহেতু এখানে শিক্ষার্থীদের কোনো ত্রুটি নেই সেহেতু তারা যেন ন্যায় বিচার পায় সেই ব্যবস্থা আমরা করব। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তাদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।