জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একাধিকবার হলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন করতে গিয়ে বেশ ক’বার পুলিশ ও ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের হাতে প্রহৃত ও আক্রান্তও হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগ নেতা, প্রকৌশলী দল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নির্মাণাধীন হলটি পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান।
এসময় বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এখানে ছোট্ট একটি জায়গায় এতো বড় একটি হল নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। এখানে নির্মাণকাজ করার জন্য যতটা যায়গা থাকার প্রয়োজন তা নেই। সেই মিরপুর থেকে ঢালাই মিশ্রণ এনে এখানে কাজ করতে হয়। তারপরেও খুব দ্রুত কাজ হয়েছে, ২০১৮ সালের জুন মাসে হলটিতে আমাদের মেয়েরা ওঠাতে পারবো আশা করি।
এসময় তিনি আরো বলেন, মেয়েদের হলে যা যা থাকা দরকার তার সবই এখানে থাকবে। ডাইনিং, ক্যান্টিন, কমন রুমসহ সব করা হচ্ছে। আসবাবপত্রও এরই মধ্যে বানানো শুরু হয়েছে। হয়তো আকারে কিছুটা ছোট হবে তাও সবই থাকবে।
এ প্রসঙ্গে জবি ছাত্রলীগের একমাত্র নারী সহ-সভাপতি তানজিনা শিমু বাংলানিউজকে বলেন, 'হল' আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। অবশেষে সে দাবি পূরণ হতে চলেছে। ভিসি স্যারের সাথে আজ (৩ ডিসেম্বর) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কাজ পরিদর্শন করেছি। কাজ বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরেই মেয়েরা হলে উঠতে পারবে বলে ভিসি স্যার আমাদের জানিয়েছেন।
এদিকে হল নির্মাণে দায়িত্বরত কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২০১৮ সালের শেষের দিকে এর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। যদিও এবছরেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভবনের কাজ করার জন্য আশপাশে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন সেই পরিমাণ পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই একপাশ থেকেই কাজ চালাতে হয়। ফলে সময় বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
ডিআর/ জেএম