সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শিক্ষার্থীরা এসব দাবিতে ক্লাস বর্জন করে ভর্তিস্থল হাজী ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন।
দাবিগুলো হলো-ভর্তি ফি ২৫ হাজার টাকার থেকে কমিয়ে ৫ হাজার টাকা করতে হবে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে হবে, বিভাগীয় ট্রান্সক্রিপ্ট ২০ এবং মূল সনদপত্র ৫০ টাকা করতে হবে, ব্যাকলগের বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে ৩০০ টাকা করতে হবে এবং ইম্প্রুভমেন্টের সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.০০ করতে হবে, ওয়ান স্টপ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করতে হবে, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং হলের খাদ্যে ভর্তুকি দিতে হবে, পুরো ক্যাম্পাসে নিরবিচ্ছিন ওয়াই-ফাই চালু করতে হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, যেখানে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি কম। সেখানে নোবিপ্রবি প্রতি বছরই ক্রমান্বয়ে ভর্তি ফি বাড়ানোর ধারা অব্যাহত রাখছে। এতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ভর্তি ফি’র কারণে ভর্তি হতে পারছেন না। ভর্তিচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাও এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, দীর্ঘদিন থেকে তারা ভর্তি ফি কমানোসহ আট দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন না করে উল্টে শিক্ষার্থীদের ওপর নানাভাবে বাড়তি ব্যয় চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে তারা আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর মুশফিকুর রহমান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ইউসুফ মিয়া একাত্মতা প্রকাশ করে দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসনিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মৌখিক প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখান করে এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ