বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২৮৮, ই-ইউনিটে ৩০১তম হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন দীপক। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে “টাকার অভাবে রাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত দীপকের” এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা নজরে আসে কিবরিয়ার।
বাংলানিউজকে দীপক কুমার বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার পরও ভর্তি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। কারণ কিভাবে ভর্তির টাকা জোগাড় করবো তা বুঝতে পারছিলাম না। এর মাঝেই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি কিবরিয়া ভাই আমাকে কল করে ভর্তির জন্য সহযোগিতার কথা বলেছেন। এতে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হলাম।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ রাবি শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি শোনার পর দীপককে ক্যাম্পাসে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। আমি তার ভর্তির সব খরচ বহন করবো। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবো।
পরবর্তীতে যদি কোনো ধরনের সহযোগিতা লাগে দীপককে তাও করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দীপকের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব-নওদাবাস গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত দোলচাঁদ চন্দ্র বর্মণ। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে মা কিরণ বালার কাছেই বড় হয়েছেন তিনি। সুকুমার নামে তার একটি ভাইও আছে।
বড়ভাইয়ের সঙ্গে দিনমজুরের কাজ করার পাশাপাশি এইচএসসি পাস করেছেন দীপক। এসএসসিতে জিপিএ-৫ ও এইচএসসিতে জিপিএ ৪.০৮ পাওয়া দীপক এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও (জবি) ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাতেও ৫৮০তম হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এমএ/