বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহিরাগতদের উৎপাত ও নিরাপত্তার দাবিতে আইএইচটি‘র ছাত্রীরা সকালে ১০টার দিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে অবরুদ্ধ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা। এ সময় ছাত্রলীগের একটি পক্ষ ছাত্রীদের পাশেই অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ আন্দোলনরত ছাত্রীদের অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের করে আনার সময় তাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এতে তিনজন ছাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। দুপুর ৩টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকায় পরিস্থিতি বেশি দূর গড়াতে পারেনি। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। বর্তমানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইএইচটি ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আইএইচটি’র অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন দাবি নিয়ে ছাত্রীরা আমার কাছে এসেছিলো। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাদের হোস্টেলের ভেতরে চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়। সভা শেষে রাজশাহী আইএইচটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকেল ৩টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান অধ্যক্ষ ড. সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/