বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) গণবিতে ভাঙচুর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. লায়লা পারভিন বানুকে (চলতি দায়িত্ব) তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
বিবিএ বিভাগের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা এবং বার বার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগের সূত্র ধরেই উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া বিবিএসহ ৭টি কোর্সে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরপর থেকে বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিভাগের অনুমোদনের দাবি জানিয়ে আসছেন। এর প্ররিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে ইউজিসির বিজ্ঞাপনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেন হাইকোর্ট।
এ ব্যাপারে উপাচার্য ডা. লায়লা পারভিন বানু বলেন, ‘ইউজিসির সঙ্গে ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাক্ষাৎ করতে চাইলেও ইউজিসির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সাড়া না পাওয়ায় কোনো অগ্রগতি সম্ভব হয়নি’। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করে উপাচার্যের কক্ষ থেকে বেড়িয়ে যান এবং প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর আবারও ভেতরে ঢুকে উপাচার্যের কক্ষে ভাঙচুর চালান। প্রশাসন ভবনের নিচতলার সিসি ক্যামেরা ও গ্লাস ভেঙে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।
**গণবি’তে বিবিএ বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
আরআর