বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে গণহত্যা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এ অভিমত দেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ-এর উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী গণহত্যা ও সন্ত্রাস বিষয়ক এই সম্মেলনের আয়োজন হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
এখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের সেন্টার ফর দি স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ-এর প্রাক্তন অধ্যাপক আশিস নন্দী।
স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মীগণ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মুক্তচিন্তার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মিয়ানমারে সম্প্রতি রোহিঙ্গা নির্যাতনসহ সকল গণহত্যা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে গবেষকদের সমন্বিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সম্মেলনের জেনোসাইড : বাংলাদেশ এন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ড শীর্ষক ২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একাত্তর সালে যে পরিমাণ গণহত্যা হয়েছে তার সব তথ্য এখনো উদঘাটন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। এজন্য গণহত্যা নিয়ে আরো বেশি গবেষণা করতে হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের জন্য বুদ্ধিজীবীদের অবদান তুলে ধরতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এসকেবি/আরআই