রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে স্কিলস কম্পিটিশনে ‘কারিগরি শিক্ষা অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এনকারেজ করছি, সব সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা পড়তেই হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর এ সময় বলেন, মানবিক, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞানের মতো কারিগরি শিক্ষারও বিভাগ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একসময় কারিগরি শিক্ষা মানে ধারণা ছিলো হাতুড়ি পিটিয়ে মিস্ত্রি হওয়া। অভিভাবকরা কারিগরিতে ছেলেমেয়েদের পাঠাতেন না। কিন্তু এখন এ ধারণা ভেঙেছে। এখন কারিগরি শিক্ষা মানে হাতুড়ি পেটা নয়, অনেক উন্নত হয়েছে, কারিগরি শিক্ষা মানে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। কারিগরি মানে বোতাম টিপে মেশিন চালু করা।
মন্ত্রী জানান, আমাদের লোকবলকে দক্ষ না করলে চলবে না। আমরা কাজে পিছিয়ে থাকতে চাই না। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে খুব সহজেই চাকরি মেলে।
পৃথিবীর কোনো দেশে কারিগরি শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালে ২০ শতাংশ, ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালে তা ৪০ শতাংশ করা হবে। বর্তমানে ১৪ শতাংশে এসেছে।
কারিগরি শিক্ষার জন্য সামাজিক বাধার পাশাপাশি কল-কারখানাগুলোও এক সময় সহযোগিতা করতো না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার মোকলেসুর রহমান, স্টেপ প্রকল্পের পরিচালক এবিএম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
বাললাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪,২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস