রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদকের নিভর্রশীল একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে কোচিং মালিকরা বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ১১০টি কোচিং সেন্টারের মালিকের অবৈধ সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়। প্রথমত রোববার ৩০টি কোচিং সেন্টারের মালিকপক্ষকে ডাকা হয়েছে। এরপর ধারবাহিকভাবে সব প্রতিষ্ঠানের মালিককে ডাকা হবে। ১১০ সেন্টারের বিরুদ্ধে অবৈধ কোচিং, প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়া পরীক্ষার্থী সরবরাহ, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে কমিশনে।
এদিকে ১১০টি কোচিং সেন্টারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৩৩টি, মেডিকেলে ভর্তির জন্য ১৫টি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ৫টি, মেরিন, টেক্সটাইল, ক্যাডেটের জন্য ৬টি, একাডেমিক কোচিং সেন্টার ১৮টি, বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির জন্য ১৪টি ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষা শেখার ১৯টি কোচিং সেন্টারের নাম রয়েছে।
তবে দুদকে হাজির হয়ে কোচিং মালিকরা বলছেন, তাদের ব্যবসা করার অনুমতি রয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমনি কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কার্যক্রম হিসেবে পর্যায়ক্রমে ডাকা হয়েছে। প্রথমত তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়া হবে। এরপর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মালিকপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭/আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা
এসআইজে/জেডএস