ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংহতি সমাবেশ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
ঢাবিতে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংহতি সমাবেশ ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী’দের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাম ছাত্র সংগঠন, ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী সামান্তা শারমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শিশু ও শিক্ষা রক্ষা আন্দোলনের (শিশির) সমন্বয়ক রাখাল রাহা, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, সমাজকর্মী জাকিয়া শিশির, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাসুদ আল মাহদী অপু, আবু রায়হান খান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের হাসিব মোহাম্মদ আশিক প্রমুখ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ নেতাদের নিপীড়নের শাস্তি দেওয়ার দাবিতে আমাদের ৪৮ কর্মঘণ্টার আল্টিমেটাম চলছে। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে বলেছিলাম, আমরাই আন্দোলনকারী, আমাদের গ্রেফতার করুন। কিন্তু প্রশাসন আমাদের গ্রেফতার করছে না। এর মানে আমাদের দাবি যৌক্তিক আর প্রশাসনের মামলা ভিত্তিহীন। আমাদের দাবি যদি যৌক্তিক হয়, তবে মামলা প্রত্যাহার করুন। একই সঙ্গে নিপীড়নকারীদের শাস্তি দিন।

গত ১৫ জানুয়ারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নিপীড়ন করে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে ১৭ জানুয়ারি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসময় কলা ভবনের গেইট ভেঙে তারা প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানীকে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মামলা প্রত্যাহার ও নিপীড়ক ছাত্রলীগ নেতাদের শাস্তির দাবিতে এ সংহতি সমাবেশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।