ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবির ইসিই ডিসিপ্লিনের ২০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
খুবির ইসিই ডিসিপ্লিনের ২০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিন ও ডিসিপ্লিনের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ইকেএএ) উদ্যোগে ২০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সকালে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ট্রেজার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের পাশ দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে দিয়ে এসে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়নুল আকতার মো. কায়েসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুবির ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

তিনি বলেন, মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে বিভিন্নভাবে মানুষে মানুষে যোগাযোগ হয়ে আসছে। তবে মানব সভ্যতার আজ অগ্রগতির যে চরম শিখরে উপনীত হয়েছে তার মূলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ইসিই বর্তমান এবং আগামী দিনেও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, পুনর্মিলনীতে পুরনো গ্রাজুয়েটদের মধ্যে প্রাণের বন্ধন হয়, তাদের একে অপরের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপিত হয়।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ও খুবির ইসিই ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক আজাদ খান, খুবির বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রেজাউল হক, ইসিই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাত কাদির, প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আবু সাইদ মো. মোস্তফা (টিপু)। আরও বক্তব্য রাখেন ইসিই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও অ্যালামনাই প্রফেসর ড. শামীম আহসান, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ১৯৯৯ ব্যাচের অলোক সরকার এবং ২০০০ ব্যাচের এস এম তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিরা, ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা এবং পেশাগত সাফল্য ও বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৪ জন প্রাক্তন গ্রাজুয়েটকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়।  

১৯৯৭ সাল থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান। এ পর্যন্ত ১৬টি ব্যাচের প্রায় পাঁচশ’ গ্রাজুয়েট বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসসহ অন্যান্য সরকারি, বেসরকারি, বহুজাতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।  

বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) শিক্ষা ও গবেষণাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ ডিসিপ্লিনের গ্রাজুয়েটরা দেশে-বিদেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।