ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ভিন্ন মাত্রায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৭, এপ্রিল ১, ২০১৮
বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ভিন্ন মাত্রায় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের রয়েছে একই ইতিহাস। গান, নাচ, নাটকসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দুই দেশকে এক গভীর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রোববার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে ও ভারতীয় হাই কমিশনের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব-২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বিগত দুই বছর দুই দেশের মধ্যকার সংস্কৃতিক বন্ধনের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর সে সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে। সুসময় ও দুঃসময়ে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বিদ্যমান। দু’টি জাতির পরস্পরের মধ্যকার শিক্ষা, সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সম্প্রীতি, মানুষে-মানুষে সম্পর্ক ও সৌহার্দের বন্ধনকে আরো দৃঢ় ও শক্তিশালী করবে এ ধরনের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান।

এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোমনাথ সিনহা, বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আরিফ হায়দার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি ড. আতাউর রহমান।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন শিরাজী ভবন চত্বরে দুই দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে যৌথভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য ও ভারতীয় হাইকমিশনার।

উদ্বোধন শেষে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উৎসবে অংশগ্রহণকারী নাট্যকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবের প্রথম দিন ভারতীয় নাট্যকার শ্রুতি বন্দোপাধ্যায়ের ‘জয় জয় ভানু জয় জয়দেব’ মঞ্চস্থ হয়। সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবে বাংলাদেশ-ভারতের মোট ১৩টি নাটক মঞ্চস্থ হবে।

প্রতিদিন বিকেল ৪টায় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এবং সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নাটকগুলো মঞ্চস্থ হবে। আগামী ৭ এপ্রিল উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ