ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

রাষ্ট্রপতিকে বরণে প্রস্তুত কুয়েট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৮
রাষ্ট্রপতিকে বরণে প্রস্তুত কুয়েট প্যানা, ফেস্টুন এবং প্লাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়েছে সড়ক/ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে বুধবার (০৪ এপ্রিল)। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে বরণ করতে ইতোমধ্যে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ জুড়ে নির্মিত হয়েছে বিশাল সমাবর্তন প্যান্ডেল এবং মঞ্চ। ক্যাম্পাস জুড়ে বিরাজ করছে সাজসাজ রব, বইছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের আগমন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে সমাবর্তন ফেস্টুন।

রাষ্ট্রপতিকে বরণ করতে ফুলবাড়ী গেটে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। ক্যাম্পাস জুড়ে শোভা পাচ্ছে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত প্যানা, ফেস্টুন এবং প্লাকার্ড।

সমাবর্তন সফল করতে গঠিত একটি স্টিয়ারিং কমিটি এবং ২১টি উপ-কমিটি দিনরাত নিরলসভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সব অপেক্ষার অবসান করে বুধবার দুপুর ২টা ৫৫মিনিটে সমাবর্তন শোভাযাত্রা সহকারে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সলরের সমাবর্তন মূল প্যান্ডেলে আগমন করবেন। বিকেল ৩টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে, ৩টা ১মিনিটে পবিত্র ধর্মগ্রস্থসমুহ থেকে পাঠ, ৩টা ৮মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সলর কর্তৃক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা, ৩টা ৯মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর স্বগত বক্তব্য রাখবেন, ৩ টা ১৪ মিনিটে ডিগ্রি প্রদান পর্ব, ৩টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সলর কর্তৃক পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্তদের সনদপত্র প্রদান, ৩টা ২৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পদক প্রদান, ৩টা ৩২ মিনিটে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান, ৩টা ৩৭ মিনিটে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য, পৌনে ৪টায় ক্রেস্ট বিনিময়, ৩টা ৪৮মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সলর ভাষণ দেবেন, ৪টা ৫৮মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সলর কর্তৃক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা, ৩টা ৫৯ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবশেন এবং বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সলর সমাবর্তন স্থল ত্যাগ করবেন।  

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬৬৮৩ জনকে ডিগ্রি সনদ দেওয়া হয়েছে। এ সমাবর্তনে যে সব শিক্ষার্থী ২০১০-২০১১ থেকে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিইউআরপি এবং দ্বিতীয় সমাবর্তনের পর থেকে এ সময়কাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের ডিগ্রি দেওয়া হবে। সর্বমোট ২৭৯৫ জনকে স্নাতক ও ২২৮ জনকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ২৬৫৭, বিইউআরপি ১৩৮, এমএসসি ৬৯, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ১০৩, এমফিল ৪৮ এবং ০৮ জনকে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ দেওয়া হবে ৩৮জন কৃতি গ্রাজুয়েটকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।