ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

কোটা সংস্কার যৌক্তিক: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
কোটা সংস্কার যৌক্তিক: ঢাবি শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে ঢাবি শিক্ষক সমিতি। ছবি: শাকিল/বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কোটা ব্যবস্থার সংস্কার যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভাঙচুর করার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, কোটা সংস্কারের এ দাবি শিক্ষার্থীদের নৈতিক দাবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা এ নৈতিক দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। পাশাপাশি আগামী ৭ মের মধ্যে কোটা সংস্কারের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেন এ সমস্যা সমাধান করা হয় সে দাবিও জানাই।  

তিনি বলেন, শিক্ষর্থীদের কোটা সংস্কারের এ আন্দোলনে পুলিশের বাড়াবাড়িকে সমর্থন করি না। উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকরীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যারা এ হামলা চালিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পারে না।  

‘২৫শে মার্চ কালো রাত ও ইতোপূর্বে যেসব হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে সেই কায়দায় প্রশিক্ষিতদের দিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে এ হামলা চালানো হয়। ’

আহতদের রাষ্ট্র অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখান থেকেই হোক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি।  

কর্মসূচিতে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর দ্বারা এই হামলা সংগঠিত হয়নি। কারণ হামলাকারীরা হামলা করার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য ভবনে হামলা করেছেন। তারা মনে করেছিল উপাচার্য সেই ভবনে থাকেন।  
তাছাড়া হামলাকারীরা উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটক চিনতেও ভুল করেছিল। কারণ তারা প্রথমে কলা ভবনের (নির্মাণাধীন) গেটের বিপরীত দিকে অবস্থিত গেটকে প্রধান ফটক মনে করেছিল।

সাদা দলের আহ্বায়ক আখতার হোসেন খান বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সবার সর্মথন থাকে কিন্তু যখন সেটা সহিংস হয় তখন সেখানে কারো সমর্থন থাকে না।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যোলয়ের  প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, কবি মোহাম্মদ সামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম, সিন্ডিকেট সদস্য নীলিমা আকতার, সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম প্রমুখ।

অন্যদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন পৃথক মানববন্ধন ও মৌনমিছিল করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসকেবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।